শনিবার, ৩১ জুলাই, ২০২১

পুরনো স্মৃতির আলিঙ্গন

এই দেখ ওই ভাঙা বিল্ডিংটা আর নেই! ক্যান্টিনের রাস্তাটাও কি পরিষ্কার, আমাদের সময়তো এত পরিপাটি ছিল না, কিন্তু দেখে খুব ভালো লাগছে অমরকে বলল লিজা।পাঁচ বছর পর রিইউনিয়ন হচ্ছে, করোনার জন্য ওদের ফেয়ারওয়েল জুনিয়ররা  দিতে পারেনি তাই সবাইকার সাথে রেজাল্ট আউট হওয়ার পর  আর দেখা হয়নি।সুমন আর নেই, করোনাভাইরাস ওর  জীবন কেড়ে নিয়েছে।রাধিকা ভেবেছিল নিজের মনের কথা গ্রাজুয়েশন কমপ্লিট হওয়ার পর সুমনকে জানাবে, কিন্তু গ্রাজুয়েশনের রেজাল্ট আউট হওয়ার আগেই সুমনে পৃথিবী ছেড়ে চলে যায়।রাধিকা একটা কোম্পানিতে কনটেন্ট রাইটারের কাজ করে, ছুটি পায়নি তাই  আসতে পারেনি, আসলে এই জায়গাটাতে আর ফিরে আসতেও চাইনি যেখানে ওর সাথে সুমনের অনেক স্মৃতিরা রয়েছে।লিজার একটা গানের স্কুল আছে,বরাবরই ভালো গান করে লিজা, ক্যাম্পাসের রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় ও গুনগুনিয়ে উঠলো "কলেজের দিনগুলো চোখের সামনে, হারানো স্মৃতি হারানো গান".... অমরের একটার পর একটা ফোন আসছে, একটি কোম্পানিতে  মার্কেটিং ম্যানেজারের কাজ করে ও, তাই অনেক কষ্টে ছুটি নিলেও ব্যস্ততা ওর সাথেই রয়েছে। কিন্তু চারপাশে তাকিয়ে ওর মনে হলো কেউ যেন স্মৃতির চাদর বিছিয়ে দিয়েছে, ক্যান্টিনের পাশেই ছিল দিলীপদার চায়ের দোকান, ওখানে বন্ধুদের সাথে অনেক মুহূর্ত কাটিয়েছে, প্রতিটা ইন্টারনাল পরীক্ষা দেওয়ার পরে,  ওর মাথা ধরাটা দিলীপদার হাতের চা খেয়েই কমতো। অমর লিজা, সুমন,  রাধিকা এই চারজনের খুব গভীর বন্ধুত্ব ছিল। অর্থনীতিতে অনার্স নিয়ে যখন ওরা ভর্তি হয়েছিল, তখন কেউ কাউকেই চিনতো না। সময়ের সাথে সাথে  অনেকের সাথে ভালো বন্ধুত্ব গড়ে উঠেছিল, সোশ্যাল মিডিয়ার  মাধ্যমে অনেকের সাথেই যোগাযোগ রয়েছে এবং তারা অনেকেই আসবে বলেছে।


প্রফেসরদের সাথে, স্টাফদের সাথে এবং বিশেষত  পুরনো বন্ধুদের সাথে দেখা হওয়ার পর সবাই যেন সেই পুরনো দিনগুলোতে ফিরে গেল। এর মাঝে খাওয়া-দাওয়া, আনন্দ  সবকিছুর মাধ্যমে একটা দিন কেটে গেল। স্মৃতির ভেলায় ভেসে সবাই  কিভাবে পাঁচ বছর আগের মুহূর্তগুলোতে কিভাবে পৌঁছে গেল,  নিজেরাই বুঝতে পারলো না!

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

অনুভূতি-দেবলীনা চৌধুরী

 আমার লেখা e-book 'অনুভূতি'  আশা করবো 'অনুভূতি' পড়ে যা অনুভব হবে সেটা অবশ্যই  জানাবেন।   Links⬇️ E-Book-অনুভূতি উপরে উল্লেখি...